Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

বিশেষ অর্জন

এলাকাটি আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার কারণ হিসাবে দেখা যায় এলাকায়শিক্ষিত মানষের সংখ্যাছিল একেবারেই নগন্য । রাস্তাঘাট ছিলনা । বর্ষাকালেযোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল নৌকা আর শুকনো মৌসুমে গরুর গাড়ী । শিক্ষা প্রতিষ্ঠানবলতে মাত্র ৩টা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় । শিক্ষিত নারীর নাম কনেও শোনাযেত না । কৃষিখাত ছিল প্রকৃতি নির্ভর । পরবর্তীতে শিক্ষা ব্যবস্থা প্রসারিতহয়েছে । ১২টি গ্রাম নিয়ে গঠিত অত্র ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় বর্তমানে ৭ টিপ্রাথমিক বিদ্যালয়, দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়দুইটি দাখিল মাদ্রাসা, দুইটি উচ্চমাধ্যমিক কলেজ একটি টেকনিক্যাল কলেজ আছে ।এ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে গণশিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি নারীশিক্ষার হার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে । যা আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক প্রভাবফেলেছে ।

 

মাড়িয়াইউনিয়ন পরিষদ এলাকার এই প্রত্যেকে জনপদের প্রাণ কেন্দ্র হচ্ছে আমগাছী বাজার । বানেশ্বর বাজার কাটাখালি বাহরিয়ান চিনিকল ও দূর্গাপুর উপজেলা সদর পাকা রাস্তা দ্বারা সংযুক্ত হওয়ায়ব্যবসা বানিজ্য প্রসারিত হচ্ছে । পালী বাজারের খেজুরগুড় দেশের অভ্যন্তনেযথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছে । অন্যান্য কৃষি পন্য নিজেদের চাহিদা পূরন করেদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তা রপ্তানী করা যাচ্ছে ।

 

   পল্লীবিদ্যুতের সংযোগ পাওয়ায় ক্ষুদ্র শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতিলক্ষনীয় । যদিও এখন পর্যন্ত কোন শিল্প কারখানা গড়ে উঠেনি বিধায় বেকারত্বদিনদিন বাড়ছে । এলাকার প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌছেনি তার সংখ্যা ৫ শতাংশহতে পারে ।

 

   চিত্ত বিনোদনের কোন সুযোগ সুবিধা নাই বললেইচলে । পূর্বে এই এলাকায় গ্রামীন যাত্রাপালার দল ছিল । রুপবান, সাপুড়েরমেয়ে, আলোমতি প্রেমকুমার ইত্যাদি যাত্রাপালা আর মনসা মঙ্গল, শিব মঙ্গল, আঅলকাপ, ভাসান, মাদার গানে এলাকার মানুষকে মাতোয়ারা করে রাখতো । এখন সেগুলোশুধুই ইতিহাস শুধুই অতীত । উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতা না থাকার কারনে নতুনশিল্পী গোষ্ঠীর আবির্ভাব হচ্ছেনা, মুক্তিযোদ্ধা খলিল, রনজিৎ মাষ্টার, আসরাফুল ইসলাম খসরু, নজরুল ইসলাম সহ আরো বেশ কিছু যাত্রা ও নাট্য প্রতিভাএখনো আছ্নে উপযুক্ত সহযোগীতা পেলে তারা উদীয়মান তরুনদের গড়ে তুলে এইক্ষেত্রটির প্রসার ঘটাতে পারে । নতুন প্রজন্ম এ ক্ষেত্রে বঞ্চিত থাকায়ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় দুধের স্বাদ ঘোলে মিটায় ।

 

    স্বাস্থ্যও চিকিৎসা ক্ষেত্রে এই জন পদের মানুষ অনেকটাই সুবিধা বঞ্চিত । তিনটিস্যাটালাইট ক্লিনিক সহ একটি পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র আছে ।যেখানে মা ও শিশুদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয় । অন্যান্য ক্ষেত্রে মানুষদূর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা রাজশাহী শহরে চিকিৎসা সেবা গ্রহণকরে ।

 

      আইন শৃংখলার ক্ষেত্রে এলাকা শান্তিপূর্ণ বলা যায়। রাজনৈতিক সহন শিলতা বিদ্যমান । উগ্র জঙ্গীবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা নাই ।মাদকের কিছুটা প্রভাব থাকলেও দেশীয় মাদক উৎপাদনের ক্ষেত্রেগুলি প্রশাসনিকতৎপরতায় উচ্ছেদ করা হয়েছে । বাল্য বিবাহের প্রবনতা এখনো সামাজে বিদ্যমান ।অন্যান্য ক্ষেত্রে দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া এলাকা শান্ত ও শান্তিপূর্ণ।

 

     কৃষি ক্ষেত্রে মাছ চাষ ব্যপক বিস্তার লাভ করেছে ।তবে আবাদী কৃষি জমি পুকুর খনন করতে গিয়ে সংকুচিত হচ্ছে । পশু পালনেরমাধ্যমে আর্থিক অগ্রগতি লক্ষনীয় ।

 

    আর্থিক প্রতিষ্ঠানবলতে এই এলাকায় কিছুই নাই । তবে ব্রাক, গ্রামীণ ব্যাংক, আশা, ব্যুরোবাংলাদেশ সহ কিছু এনজিওর আর্থিক সহযোগীতা ও ক্ষদ্র ঋণ প্রদানের মাধ্যমেক্ষুদ্র ব্যবসা, পশু পালন ও কৃষিখাত সমৃদ্ধি লাভ করেছে ।          

 ধন্যবাদ

১। মো: হাসান ফারুক ইমাম পর পর ৪ বার চেয়ারম্যান।

২। আলহাজ্ব মোল্লা আব্দুল ওয়াহেদ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান,রাজশাহী-৫, দূর্গাপুর, পুঁঠিয়া ।

৩।মো: আ.ও.ম নুরুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ।

৪। মো: জোনাব আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ।